আপনার আমার মাঝেই ঘুরে নির্বিচারে মিলেমিশে একাকার। বুঝার উপায় নেই,বুঝবেন কি করে? বড় বড় নেতাদের সাথে সেল্ফি, ছবি,বিভিন্ন ভংগিমার ছবি।দেখে মনে হবে অনেক বড় মাপের নেতা।রাজপথের মিছিলের কোন ছবি পাবেন না।এগুলো ২০১৬ সালের পরের কিংবা ১৫ সালের।
অথচ দল ক্ষমতায় ১২ বছর।তাহলে ১৫ সালের আগের ছবি কোথায়? ২০০৮ সালে কিংবা ২০১০ সালে এই ধুরন্ধর কি করত? সবই জানা দরকার।
এই চাটুকার মূলত জয়পুরহাট জেলার ক্ষেত্রলাল উপজেলায় বাড়ি,জন্মসূত্রে বি,এন,পি জিয়া আদর্শে গড়ে উঠা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি করত,২০১৩ সালেও সে চরম ছাত্রশিবিরের হয়ে রাজশাহীতে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।কিন্তু যখন ১৪ সালে জামায়াত বি,এন,পি ক্ষমতায় না আসলে সে মোড় পাল্টে ঢাকার আসে।ঢাকা ধানমন্ডির রাজনৈতিক(আওয়ামীলীগ) কার্যালয়ে আসে, নিজেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির পরিচয় দেয় কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতারা তাকে চিনেন না ।
প্রথমেই তার কাজ হলো বিভিন্ন নেতাদের সাথে পরিচয় দিয়ে,সালাম দিয়ে পরিচিত হয়।এর পরে আওয়ামীলীগের বড়বড় নেতাদের ব্যক্তিগত সহকারী বলে পরিচয় দেয়,এমপি-মন্ত্রীদের সার্ভেন্ট হিসেবে সব কাজ করে।নেতারা পার্টি অফিসে আসলে গাড়ি থেকে যখন নামেন তখন দূরে দাঁড়িয়ে সালাম দেয়, বিভিন্ন নেতাদের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়।এদিকে জয়পুরহাটের নেতাদের পরিচয় দেয় এই বলে যে সে কেন্দ্রীয় নেতাদের খুব কাছের মানুষ।বিভিন্ন ধান্ধা করে। জেলার নেতাদেরকে ভাইটাল নেতাদের সাথে দেখা করিয়ে বকসিস্ হাতিয়ে চলে।এছাড়াও সে বিভিন্ন জেলার নেতাদের ব্ল্যাকমেইল করে ছবি দেখিয়ে বলে মনোনয়ন নিয়ে দিব টাকা দিন।তৃনমূলের নেতাদের কাছে হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা।এবার সম্মেলনের পরে যখন। আওয়ামীলীগের বিভিন্ন দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক নেতাদের ছাঁয়াতলে থাকে বলে বিভিন্ন জেলার নেতাদের নেতৃত্বে নিয়ে আসার লোভ দেখিয় টাকা হাতিয়ে নেয়, মিটিং করে ফাইভস্টার হোটেলে।ফেসবুকে ছবি বড় বড় নেতাদের সাথে দেখে তৃনমূলের নেতারা ভাবে সত্যিই বুঝি সে সব।অথচ গত কয়েকবছর আগেও সে ভিন্ন মতাদর্শের লোক ছিল।দপ্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পিয়নকে বকসিস্ দিয়ে ফ্লাস করত,মূলত কার এজেন্ট সে? ঢাকা ১৮ আসনে উপ- নির্বাচনে মনোনয়ন কতজন সংগ্রহ করেছে সে পিয়নকে ঘুস দিয়ে সাংবাদিকদের জানায় কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত তার তথ্যগুলো ভূল ছিলো।এরকম শত শত অপকর্মে সে লিপ্ত।
যেখানে দলের দুর্দিনের নেতারা অসহায় জীবন যাপন করে আর সে বিলাসবহুল পোশাক পরিধান করে।
হাইব্রিড কাউয়া আপনার পাশেই আছে খুব জাকজমক ভাবেই আছে।এবারের উপ-কমিটিতে যদি এসব হাইব্রিড আসে তাহলে আবারও সাহেদ যে কাজ করে বিতর্কিত করেছে এরাও তাই করবে।সুতরাং তৃনমূল ফেসবুকে নেতাদের সাথে সেল্ফি কিংবা ছবি দেখেই ভাবেন না যে আসল নাকি ধান্ধাবাজ। দ্বায়িত্বরত নেতারাও সতর্কতার সাথে চলুন।দলকে সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখতে এদের রুখে দেওয়ার এখনই সময়।